- Suite 1301 (Level 12), Pritom Zaman Tower, 37/2 Purana Paltan, Dhaka 1000, Dhaka, Bangladesh
- info@lsc-bd.net
LSC intelligent team
LLB(Hon's) LLM(Maritime Law)BA (DU)
Advocate, Supreme Court of Bangladesh
Head of Chamber.
LL.B (Hon's), LL.M (Jnu)
Senior Associate
Advocate
LL.B (Hon's), LL.M
Senior Associate
Advocate
LL.B (Hon's), LL.M
Legal Associate
LLB(Hon's) LLM(UK)
Research Associate
LL.B(hon's) LL.M(BUP)
Legal Associate
LL.B (Hon's) LL.M(JNU)
Legal Associate
LL.B (Hon's), LL.M
Legal Associate
LL.B(Hon's), LL.M
Legal Associate
সাইবার ক্রাইম এন্ড সাইবার ল'
আল মামুন রাসেল
ভালো বক্তা, উপস্থাপক ও বিতার্কিক
হওয়ার বৈজ্ঞানিক কৌশল
আল মামুন রাসেল
বি স্মার্ট স্পিকার
আল মামুন রাসেল
ভালো বক্তা, উপস্থাপক ও বিতার্কিক
হওয়ার বৈজ্ঞানিক কৌশল
আল মামুন রাসেল
অনলাইনে শপিং করে প্রতারিত হলে করণীয় দিক?
অনলাইন বা ফেসবুকের মাধ্যমে পেজ খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য করার পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাকে বলে অনলাইন শপিং। এই শপিং ক্রেতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফেসবুক বা অনলাইন সম্পর্কে যাদের একটু ভাল আইডিয়া রয়েছে তারা এ ব্যবসা দ্রুত শুরু করতে পারে। বিশেষ করে যাদের পক্ষে বড় ধরনের পুঁজি বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়, তারা প্রায় বিনা পুঁজিতে এ ব্যবসা শুরু করতে পারে। এখন ফেসবুক খুললে যে কেউ বিভিন্ন নামের পেইজ দেখতে পাওয়া যায়। এসব পেইজে পোশাক থেকে শুরু করে প্রসাধন সামগ্রী, চাল, ডাল, তেল, ডাক্তারি পরামর্শসহ হেন কোনো পণ্য নেই যা বিক্রি করা হয় না। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য মূল্য হ্রাসসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার দেয়া হয়। দুইটি কিনলে একটি ফ্রি বা ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাকসহ আরও নানা গিফটের অফার থাকে।
অনলাইন শপিং সারাবিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন ঝক্কি-ঝামেলা সামলে মার্কেটে গিয়ে শপিং করার চেয়ে ঘরে বসে অর্ডার দিলেই তা একদিন বা দুইদিনের মধ্যে চলে আসছে। কিন্তু এই অনলাইন শপিং এ প্রতারক চক্রও রয়েছে। তারা একেক সময় একেক নামে পেইজ খুলে বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও অন্যান্য দামী পণ্য সামগ্রীর ছবি তুলে অত্যন্ত কম মূল্য লিখে দেয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে পছন্দনীয় পণ্যের অর্ডার দিলে দেখা যায় অর্ডারকৃত পণ্যের পরিবর্তে অন্য নিম্নমানের পণ্য পাঠিয়ে দেয়। এ ধরনের পেজে অর্ডার দিলে তা ডেলিভারি ম্যানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় না। তাছাড়া অনেকে প্রিপেইড করে সঠিক সময় পণ্য পান না। আবার অনেকে পণ্যই পান না। অনলাইন ব্যবসাতে যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি মন্দ দিকও আছে। এই ভালোমন্দ মিলিয়ে বর্তমানে অনলাইন ব্যবসা দেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশে যে কোনো ব্যবসা করতে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। অনলাইন ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত আলাদা নীতিমালা হয়নি। কিন্তু যেহেতু এটাও একটি ব্যবসা, এর জন্যও তাই ট্রেড লাইসেন্সের ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। এখানে ব্যবসায়ীরা প্রচুর আয় করেন। তাই আয়করের বিষয়টিও এখানে জড়িত। তবে সরকারি বিধিমালা ও সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে সবকিছু।
২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন জারি করা হয়েছে। এই আইনের উদ্দেশ্য- কোনো ক্রেতা কোনোভাবে প্রতারিত যাতে না হয় এবং আইনত নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি করা না হয় কিংবা সরবরাহসহ ব্যবস্থায় ক্রেতার কোনো ক্ষতি না হয় হত্যাদি। অনলাইনে বিশ্বাস করে কোনো পণ্য ক্রয় করে ক্রেতারা। এসব ক্ষেত্রে প্রতারিত হতে পারেন সাধারণ ক্রেতারা। যেটি আমাদের আইনে শাস্তির উল্লেখ রয়েছে।
ভোক্তা অধিকার আইনে ৩৭ ধারা থেকে ৫৬ ধারায় পণ্য বিক্রি ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। পণ্যের বিস্তারিত তথ্য ও তথ্যের সঙ্গে পণ্যের সামঞ্জস্যতা থাকতে হবে। অন্যথায় এটা প্রতারণা হিসেবে গণ্য হবে। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত মূল্য থাকতে হবে। তা প্রদর্শন করতে হবে। ভেজাল পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোনো পণ্যে ভেজাল মিশানো যাবে না। অবৈধ পণ্য বাজারজাতকরণ, মিথ্যা বিজ্ঞাপন ও প্রতিশ্রুতি, যথাযথ ও প্রতিশ্রুতভাবে সেবা প্রদান না করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বেআইনি প্রথা অবলম্বন করে ব্যবসা করলে তাতেও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করতে পারবেন ক্রেতারা।
ক্রেতা প্রতারিত হলে প্রতিকার পাওয়ার জন্য যে যে পদক্ষেপ নিতে পারে-
♦ক্রিমিনাল মামলা করা যাবেঃ
অনলাইনে পণ্য ক্রয় করে যদি কেও প্রতারণার শিকার হয় তাহলে ৪১৭ ও ৪২০ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে বা থানায় মামলা করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলো যে প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে তার অনলাইন সাইট নেম এবং কি ধরণের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তার তথ্য প্রমাণ তথা অর্ডার নাম্বার, রশিদ বা ক্যাশমেমু বা লেনদেনের স্কিন শট ইত্যাদি নিয়ে থানায় মামলা করার চেষ্টা করুন, যদি থানায় মামলা না নেয়,তাহলে নূন্যতম একটি জিডি করে, এই জিডি ও তথ্য প্রমান নিয়ে কোর্টে মামলা করতে পারবেন। যদি প্রমাণিত হয় তাহলে ৪১৭ ধারায় ১ বছর ও ৪২০ ধারায় ৭ বছর পর্যন্ত শাস্তি হতে পারে, তবে যেহেতু এটি আপোষযোগ্য মামলা এতে আসামী আপোষ করে ক্ষতিপূরণ দিলে মামলা শেষ হয়ে যাবে।
যদি কোন অনলাইন প্রতিষ্ঠান যদি রেফান্ডের কথা বলে চেক প্রদান করে এবং এই চেক নগদায়ন না হয় তাহলে প্রথমে এই চেকটি ডিসঅনার করে প্রথমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ে পরবর্তীতে NI Act এর অধিনে ক্রিমিনাল মামলা ও করা যাবে এবং প্রমাণিত হলে চেকের মূল্যের ৩ ডাবল পরিমান টাকা ক্ষতিপূরণ ও দেয়া লাগে।
♦ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগঃ
অনলাইনে প্রতারিত হলে আপনি জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর আইন ২০০৯ এর ৭৬(১) ধারা মোতাবেক প্রতারণার ৩০ দিনের মধ্যে অধিদপ্তরের নির্দিষ্ট ফর্মে অভিযোগ করতে পারেন, সাধারণত ভোক্তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সরকারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এই আইনের মজার বিষয় হলো এর ৭৬ ধারা। এখানে অভিযোগকারী ভোক্তাকে মোট জরিমানার ২৫ শতাংশ দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।
♦সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট অভিযোগ বা সাইবারে ট্রাইবুনালে মামলাঃ
অনলাইনে প্রতারণা এটা একটি সাইবার অপরাধ, এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে আপনি সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট এ অভিযোগ করতে পারেন, ডিপার্টমেন্ট এই বিষয়ে তদন্তে নামবে, তদন্তে প্রমাণিত হলে তাহার পদক্ষেপ নিতে পারবে এবং সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা ও করতে পারবে।।
তবে এই প্রতারণার মাঝে অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান আছে যারা সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে, তাই পণ্য ক্রয় করার ক্ষেত্রে সাইড দেখে রিভিউ দেখে তারপর পণ্য অর্ডার দিন।
লেখকঃ
Advocate Al Mamun Rasel
হেড অব চেম্বার, লিগ্যাল সলিউশন চেম্বার
👉 সোসাইটি, ফাউন্ডেশন, সংগঠন, সমিতি, ট্রাস্ট রেজিষ্ট্রেশন বা নিবন্ধন প্রক্রিয়াঃ
সমিতি, সোসাইটি, সংগঠন, ফাউন্ডেশন, বা ট্রাস্ট সবই প্রায় একইরকম পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে হয়। ট্রাস্টের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা রয়েছে, ট্রাস্টের নামে জমি হস্তান্তর এবং ট্রাস্টি নিয়োগ, ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের ব্যাপার-সেপার রয়েছে, তো আমরা আজকে সেদিকে যাচ্ছিনা। ফাউন্ডেশন সাধারনত চ্যারিটেবল পারপাসে গঠন করা হয়ে থাকে, অনেক সময় মৃত ব্যক্তির নামেও করা হয়ে থাকে। যেমন ধরুন- সাজেদা ফাউন্ডেশন, অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশন ইত্যাদি।
সোসাইটি সাধারনত জনসেবা মূলক কাজ এবং অলাভজনক, অরাজনৈতিক সামাজিক কাজের উদ্দেশ্য গঠন করা হয়। যেমন ধরুন- বাল্য বিবাহ রোধের জন্য সচেনতামূলক একটা সংগঠন, বা বৃক্ষরোপন, বনায়ন করার উদ্দেশ্য, কিংবা অসহায় দরিদ্র লোকদের সেবা করার উদ্দেশ্যে সংগঠন কিংবা স্থানীয় কোন ক্লাব বা সমাজ কল্যান মূলক সমিতি ইত্যাদি। আপনারা স্ক্রিনে খুলনা জেলায় নিবন্ধিত কয়েকটি সোসাইটির তালিকা দেখতে পাচ্ছেন।
👉 একটা সোসাইটি বা ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন পাওয়ার দুইটি রাস্তা রয়েছে-
একটা হল সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়া, আরেকটা হল- রেজিস্টার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানীস্ এন্ড ফার্মস্ বা আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নেওয়া।
আপনি যদি সীমিত আকারে বা শুধুমাত্র একটা জেলার বা কয়েকটা জেলার ভেতর আপনার কার্যক্রম চালাতে চান তা হলে আপনি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নিতে পারেন। তবে দেশ ব্যাপি বৃহৎ পরিসরে কার্যক্রম চালাতে গেলে, বিদেশ থেকে অনুদানের অর্থ রিসিভ করতে গেলে, বিস্তৃত পরিসতে কাজ করতে গেলে আরজেএসসি থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। উভয় ক্ষেত্রেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম, তবে আরজেএসসি তে নিবন্ধনের খরচ কিছুটা বেশি।
👉 সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনঃ-
মাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ ও সংশ্লিষ্ট বিধি, ১৯৬২ এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন প্রদান করা হয়ে থাকে সমাজসেবা অধিদপ্তর সাধারনত ১৫ টি সমাজ কল্যান মূলক বা সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য নিবন্ধন দিয়ে থাকে। আপনারা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন-
👉 নিবন্ধন পেতে হলে-
প্রথমে নামের ছাড়পত্র নিতে হবে, এর পর আবেদন ফি হিসাবে নির্ধারিত কোডে পাঁচ হাজার টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এর পর আবেদন পত্র যথাযত ভাবে পূরন করে সাথে প্রয়োজনীত যাবতীয় কাগজপত্র- যেমন-
- সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের ছবি
- প্রাথমিক সাধারণ সভায় নাম নির্ধারণ সংক্রান্ত কার্যবিবরণীর সত্যায়িত অনুলিপি
- বাংলায় সংস্থার গঠণতন্ত্র
- সাধারণ সদস্যদের নাম, পিতা, মাতা, পেশা, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা এবং নিজ স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা
- বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মসূচী
- সংস্থার নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের বিবরণ
- সংস্থার কার্যালয়ের জমির দলিল অথবা ১৫০ টাকার ষ্টাম্পে ভাড়ার চুক্তিপত্রের সত্যায়িত অনূলিপি।
- স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার/ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সুপারিশ পত্র।
এছাড়াও অন্যান্য প্রয়োজনীয় আবশ্যিক কাগজপত্র, নির্ধারিত ফরম্যাটে প্রস্তুত করে জমা দিতে হবে।
আবেদন করার পর রেজিস্ট্রেশন পেতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগতে পারে।
👉 আরজেএসসি থেকে নিবন্ধনঃ-
আরজেএসসি থেকে সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট- ১৮৬০ এবং অন্যান্য এস আর ও, আইন ও বিধি অনুযায়ী সোসাইওটি ও ফাউন্ডেশনের নিবন্ধন দেওয়া হয়ে থাকে। এখানে মোট ৫ টি ধাপে নিবধন্ধনের জন্য অগ্রসর হতে হয়-
প্রথম ধাপ- নামের ছাড়পত্র
প্রথমে আপনাকে একটি নামের ছাড়পত্র নিতে হবে। নামটি ইউনিক হতে হবে অর্থ্যাৎ অন্যকেউ এই নাম পূর্বে ব্যবহার করে নাই বা এই নামে নিবন্ধন নেই নাই। অন্য কোন বসোসাইটি বা ফাউন্ডেশনের নামের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হতে পারবেনা। নামের শেষে সোসাইটি, সমিতি বা ফাউন্ডেশন শব্দটি থাকলে ভালো হয়। নামের ছাড়পত্র নেওয়ার বর্তমান ফিস এবং ভ্যাট সহ মোট টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হয়।
২য় ধাপ- সোসাইটি বা ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র প্রস্তুত করাঃ
- এই ধাপে আপনার সোসাইটি বা ফাউন্ডেশনের জন্য একটা গঠনতন্ত্র, সংবিধান বা মেমোরান্ডাম অফ এ্যাসোসিয়েশন তৈরি করতে হবে। এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস্।
- এই গঠনতন্ত্রের মধ্যে আপনার সংগঠনের মিশন-ভিশন, অবজেক্টিবস্, লক্ষ-উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে।
- একটা সোসাইটি নিবন্ধনের জন্য মিনিমাম ৭ জন সদদ্য থাকতে হবে।
- এই গঠনতন্ত্রে সংগঠনের বার্ষিক সাধারন সভা অর্থ্যাৎ এ,জি,এম কবে হবে, ইজিএম কবে হবে, এই সভার কোরাম কয়জন হবে, এই সংগঠনের ওয়াইন্ডিং-আপ কিভাবে হবে, ইত্যাদি উল্লেখ থাকতে হবে।
- এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় এর মধ্যে উল্লেখ থাকতে হবে।
- যেহেতু এটা একটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট তাই এটা একজন অভিজ্ঞ আইনজীবির সাহায্য নিয়ে তৈরি করাই নেওয়াই উত্তম।
৩য় ধাপ- রেজিস্ট্রেশন ফিস্ এবং সকল ডকুমেন্ট জমা দেওয়া
এই ধাপে এসে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন ফিস, ফাইলিং ফিস, ডিজিটাল সার্টিফিকেট ফিস এবং সবগুলোর উপর ১৫% ভ্যাট সহ নির্ধারিত কোডে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এবং জমার রশিদ সহ, গঠনতন্ত্র, নামের ছাড়পত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ সহ আরজেএসসিতে জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ- তদন্ত রিপোর্ট
সকল ডকুমেন্টস্ ঠিক থাকলে, আরজেএসসি এটা তদন্ত করার জন্য এন এস আই বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স এর বরাবরে লেটার পাঠাবে। অতঃপর এন এস আই আপনার সোসাইটি বা সংগঠনের ব্যাপারে তদন্ত করবে, কমিটি মেম্বার বা উদ্যোগতা যারা আছে, তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন তথ্য ও ডকুমেন্ট চাইতে পারে। এনএসআই এর তদন্ত শেষ হলে, রিপোর্ট আরজেএসসিতে পাঠানো হবে।
৫ম এবং শেষ ধাপ
এই পর্যায়ে এন এস আই এর রিপোর্ট পজেটিভ থাকলে, সবকিছু চেক করে আরজেএসসি আপনার সোসাইটি বা ফাউন্ডেশনের রেজিস্ট্রেশন আবেদন টি অনুমোদন দিবে এবং সার্টিফিকেট অফ ইন-করপরেশন ইস্যু করবে। সার্টিফিকেট অফ ইন-করপরেশন পাওয়ার অর্থ হল, আপনি এখন আপনার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন।
রেজিষ্ট্রেশন বিষয়ে যোগাযোগ-
Legal Solution Chamber(LSC)
Communication- 01732604603
নিজের ধর্ম বা বিশ্বাস পর্যালোচনা করা, অন্যের ধর্মের মূল্যবোধের প্রতি আঘাত বা উস্কানী হতে পারে নাঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারার ব্যাখ্যা, পর্যালোচনা ও আইনী বিশ্লেষণ
কেও যদি তার ধর্মকে ব্যাখা বা পর্যলোচনা করতে গিয়ে অন্যে ধর্মের মূল্যবোধের উপরে আঘাত আসে তাহলে এটি কোন মতেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ধর্মীয় উস্কানি বলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারার অপরাধ হতে পারে না, যা খুব সুন্দর করে আমাদের আন্তর্জাতিক নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা সম্পর্কিত ১৮ নম্বর ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে এর ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। তাই একদিকে যেমন কারো ধর্মীয় এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে কারো ধর্মীয় ভিন্ন অবস্থান, বিশ্বাস বা ধর্মের পর্যালোচনা করার অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে ধর্মকেন্দ্রিক ঘৃণা প্রতিরোধ করার দায়িত্বও পালন করতে হবে।
১৮ নম্বর ধারার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে এর ব্যাখ্যায় বলা আছেঃ
একদিকে যেমন কারো ধর্মীয় এবং বিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে কারো ধর্মীয় ভিন্ন অবস্থান, বিশ্বাস বা ধর্মের পর্যালোচনা করার অধিকারও নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে ধর্মকেন্দ্রিক ঘৃণা প্রতিরোধ করার দায়িত্বও পালন করতে হবে।
তাই ধর্মীয় বিশ্বাসের ব্যাখা দিতে গিয়ে নোয়াখালীর Yeasin Rubel ফেইসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছে তাই কোন মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারায় ফেলার কোন সুযোগ নেই, এটি তার নিজস্ব পর্যালোচনা এটি দিয়ে তাকে গ্রেফতার করার কোন সুযোগ নেই, এটি পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে, আইন না বুঝে করেছেন। তাই একজন আইনজীবী হিসেবে এহন নেক্কারজনক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই এবং Yeasin Rubel এর যদি আইনী সহায়তার প্রয়োজন হয় তাহলে আমি এবং আমার Team ফ্রি আইনী সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারা ২৮ (১) বলা হয়েছে:‘যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উসকানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।
যেহেতু এই আইনের ২৮ ধারার অনুচ্ছেদ ১ এর কোন ব্যাখা দেয়া হইনি তাই আমাদের এটির ব্যাখা আন্তর্জাতিক আইনের অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন চুক্তির দিকে তাকাতে হবে এবং ব্যাখা বের করে আমাদের আইনকে সহজ করতে হবে।
Al Mamun Rasel
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
হেড, Legal Solution Chamber - LSC
তালাক হচ্ছে একমাত্র আইনগত পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সাধারণত একটি তালাক অনেকগুলো বিষয়ের জন্ম দেয়।
তালাক একটি বিবৃতি বা পদ্ধতি-একে অপরের কাছ থেকে আলাদা হওয়ার জন্য। যা স্বামী বা স্ত্রী দুই পক্ষ থেকেই আসতে পারে।
বাংলাদেশে তালাক সম্পর্কিত আইন ও নিয়ম মুসলিম পারিবারিক অধ্যাদেশ ১৯৬১-এ পাওয়া যাবে। যা বাংলাদেশে মুসলিমদের জন্য কার্যকর লিখিত আইন।
অন্য ধর্মানুসারীদের-যেমন খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের জন্য আলাদা লিখিত আইন আছে। তবে বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত হিন্দুদের জন্য তালাকের কোনো লিখিত আইন নেই।
আইনের যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করার পর তালাক কার্যকর হবে। তালাক আইন অনুযায়ী তালাক হবে। তালাকের প্রকারভেদঃ-
১. স্বামী কর্তৃক তালাকঃ
তালাক দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা স্বামীর সবচেয়ে বেশি। কোন কারন ব্যতীত স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারে।
২. স্ত্রী কর্তৃক তালাকঃ
তালাক দেওয়ার অধিকার বা ক্ষমতা স্ত্রীর কম। আইনে উল্লেখিত কারণ ব্যতীত স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দিতে পারবে না।তবে কাবিন নামার ১৮ নং কলামে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিয়ে বিচ্ছেদের ক্ষমতা দেওয়া থাকলে (তালাক-ই-তৌফিজ) স্ত্রী তালাক দিতে পারবে। যদিও ইসলাম ধর্মে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়া হয় নাই।
৩. পারস্পারিক সম্মতিতে তালাকঃ
ক) খুলা – স্ত্রী তার স্বামীকে যেকোন কিছুর বিনিময়ে তালাক দেওয়ার জন্য রাজি করাবেন।
খ) মুবারত – স্বামী স্ত্রী উভয়ের পারস্পারিক সম্মতিতে তালাকের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
৪. আদালত কর্তৃক বিচ্ছেদঃ আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করে ডিভোর্স নেওয়া।
★তালাক দেয়ার পদ্ধতিঃ
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ৭(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিতে চাইলে যেকোন পদ্ধতির তালাক ঘোষনার পর যথাশীঘ্র সম্ভব তালাকের নোটিশ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিশোধ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে পাঠাতে হবে এবং উক্ত নোটিশের একটি অনুলিপি(নকল) স্ত্রীকে পাঠাতে হবে।
একই আইনের ৭(২) ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি নোটিশ প্রদানের এ বিধান লংঘন করেন তবে তিনি এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। তবে স্বামী যদি নোটিশ প্রদান না করে তাহলে শাস্তি পাবে ঠিকই কিন্তু তালাক বাতিল হবে না।
৭(৪) ধারা অনুযায়ী, নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যান সংশিষ্ট পক্ষ দ্বয়ের মধ্যে পুনর্মিলন ঘটানোর উদ্দেশ্যে একটি সালিশী পরিষদ গঠন করবেন।সালিশী পরিষদ যদি সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয় এবং স্বামী যদি ৯০ দিনের মধ্যে তালাক প্রত্যাহার না করে তবে ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে। এই ৯০ দিন স্বামী তার স্ত্রীকে ভরণপোষণ দিতে বাধ্য থাকবে।
৭(৩) ধারা মতে, চেয়ারম্যানের কাছে নোটিশ প্রদানের তারিখ হতে ৯০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না। কিন্তু তালাক ঘোষণার সময় স্ত্রী যদি গর্ভবতী থাকে তাহলে ৭(৫) অনুযায়ী গর্ভাবস্থা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তালাক কার্যকর হবে না। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৯০ দিন পর তা কার্যকর হবে।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ এর ৬ ধারা মতে বিয়ের তালাক ও রেজিষ্ট্রি করতে হয়। কাজী নির্ধারিত ফি নিয়ে তালাক রেজিষ্ট্রি করবেন এবং ফি ব্যতীত প্রত্যয়ন কপি প্রদান করবেন।
অবশেষে বলা যেতে পারে, ডিভোর্স কাজির মাধ্যমে দিলে ও হয় তবে আমাদের দেশে দেখা যায় যে, প্রত্যেক এক তরফা ডিভোর্স এর পরে মামলার জটিলতা শুরু হয় অর্থাৎ বিপরীত পক্ষ মামলা দিয়ে দেয়, এই জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে ডিভোর্স দিলে ভবিষ্যৎ মামলার জটিলতা কিছুটা এড়ানো সম্ভব হয়, কারণ আইনজীবীরা যখন ডিভোর্স এর ব্যবস্থা করে তখন তালাকের নোটিশের সাথে ৫০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে ডিভোর্স এর কারণ লিখে আরেকটি নোটিশ পাঠায় যাহা ভবিষ্যৎ মামলার ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পেতে পারে।
Al Mamun Rasel
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
হেড, Legal Solution Chamber - LSC
Mobile
+88 02-47 11 02 75
+88 01732 60 46 03
info@lsc-bd.net
Address
Suite 1301 (Level 12), Pritom Zaman Tower, 37/2 Purana Paltan, Dhaka 1000, Dhaka, Bangladesh